চলতি বছরে দেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৫ জন। আজ (রোববার) জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০২৩ সালের বার্ষিক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

বছরজুড়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসকের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, সিনিয়র সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির, সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩৬৫ দিনে পারিবারিক নির্যাতনে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আত্মহত্যা করেছেন ১৪২ জন। ২০২২ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৭৯ নারী। এ বছর তা আরও বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার ১৪২ নারীর মধ্যে ৬৪ জন হত্যার শিকার এবং ছয়জন আত্মহত্যা করেছেন। নির্যাতনের শিকার নারী গৃহকর্মীর সংখ্যা ৩২ জন। আর এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১০ নারী।

গত এক বছরে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যার শিকার হয়েছে কমপক্ষে ৪৮৪ শিশু। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে অন্তত ১ হাজার ১২ শিশু।