এসেছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৪। বর্ণিল আয়োজনে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই নতুন বছরকে বরণ করে নিলো ওশেনিয়া মহাদেশের দেশ কিরিবাতি, সামোয়া ও টোঙ্গা। এরপরই ২০২৪ কে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পুরোনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করতে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে চলছে জাঁকজমকপূর্ণ প্রস্তুতি।
রাত ১২টা আগে থেকেই হাজারো মানুষ ভিড় করতে থাকে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারের চারপাশে। ঘড়ির কাটাটি ১২ টায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আলোকিত হয়ে ওঠে স্কাই টাওয়া। শুরু হয় বর্ণিল আতশবাজি। হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে উপভোগ করতে থাকেন নেই রং-বেরঙের আলোর ঝলকানি।
তবে অকল্যান্ডের মত এত বড় আয়োজন না হলেও খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০২৪ কে নিজেদের মত করেই বরণ করে নিয়েছে কিরিবাতি, সামোয়া ও টোঙ্গা। ভৌগোলিক কারণে প্রতিবছরই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারাই নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
ডেইলি মিরর জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ১০টায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে কিরিবাতি। যুক্তরাজ্য থেকে ১৩ ঘণ্টা এগিয়ে দেশটির সময়।
ক্যানবেরা টাইমস জানিয়েছে, কিরিবাতির বৃহত্তম দ্বীপ কিরিতিমাতিতে প্রথম নতুন বছর শুরু হয়েছে। এখানে প্রায় ৫০০ মানুষের বসবাস। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো নিয়ে বড় কোনও আয়োজন ছিল না।
নিউ জিল্যান্ডের ভূখণ্ড চ্যাথাম আইল্যান্ড ১৫ মিনিট পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। এখানে প্রায় ৭০০ মানুষের বাস।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ধীরে ধীরে ২০২৩ সালকে বিদায় এবং ২০২৪ সালকে বরণ করে নেবে পুরো বিশ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং সর্বশেষ আমেরিকার দেশগুলো নতুন বছরকে বরণ করবে।
কিরিবাতি আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার পশ্চিমাংশের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। ১৯৯০ সালের আগে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কিরিবাতির ওপর দিয়ে যেত, যার ফলে কিরিবাতির দুই অংশে থাকত দুই তারিখ। পরে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাটি কিরিবাতির সর্বপূর্বের দ্বীপ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কিরিবাতি জুড়ে এখন একটি তারিখই থাকে। সবার আগে সামোয়ার সঙ্গে পুরো কিরিবাতি উদযাপন করতে পারে ইংরেজি নববর্ষ।