টানা ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে তালা ভেঙে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে এগারোটার দিকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তারা। নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি। এর পাশাপাশি ভিড়লেও তাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে।’

 

তালা ভেঙে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকলেন নেতাকর্মীরা | রাজনীতি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশ এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপর গেইট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন… জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদের চাবি দেওয়া হয়নি। পরে আমরা তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করি।’

তালা ভাঙার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সেদিনের তাণ্ডবের পর আপনারা দেখেছেন আপনাদের চোখের সামনে তালা লাগিয়ে পুলিশ চাবিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কত নাটক ওরা করেছে। আমরা পুলিশের কাছে চাবি চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি।’

এর আগে বুধবার দলীয় কার্যালয় খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রহসনের এক নির্বাচন। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। মূলত কার্যালয়ে আসলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।

শায়রুল কবির খান বলেন, এর আগে শুধু ১/১১ সরকারের সময় এতো দীর্ঘসময় ধরে বিএনপির কার্যালয় বন্ধ ছিল। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তিনি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ম্যাডাম দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করে দলের কার্যালয় যায়। তখন আবার দলীয় কার্যালয় খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।