মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়ার আট দিন পর ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডুবুরি দলের প্রধান শাহ পরান বলেন, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ইয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি সোজা করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে টেনে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়।

নদীতে প্রচণ্ড স্রোত, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার অভিযান  কিছুটা ব্যাহত হয়। নানা প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে ফেরিটি ওঠানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাকি দুটি ট্রাকও বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে।

গত আট দিনের অভিযানে ডুবে যাওয়া ফেরি, মালবাহী সব গাড়ি ও নিখোঁজ ইঞ্জিন মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের আর কিছুই বাকি নেই বলে জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৯টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে । রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে আটকা পড়ে। পরের দিন বুধবার (১৭ জুন) সকাল সোয়া আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরির স্টাফ ও যানবাহনের চালক ও সহযোগী ২১ জনের মধ্যে ২০ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির। গত সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।