বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনায় সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। যাদের আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই। তবে তাদের জন্য আশির্বাদ হতে পারতো সামাজিক বিমা। কিন্তু বিমাখাতে দেশের মানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী কার্যকর নিরাপত্তা বলয় হিসেবে বিবেচিত হওয়া সামাজিক বিমা চালু করা যাচ্ছে না বাংলাদেশে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে  সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন তথ্য উঠে এসেছে ।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে নানা খাতে নিয়োজিত কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৩ কোটিরও বেশি। তবে এদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ মানুষই আছে যারা কর্মজীবনে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার কেউ নেই।

জিআইজেড ইন বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ম্যানেজার সিলভি পপ বলেন, যে কেউ যে কোন সময় অক্ষম হতে পারে। সরকারি বেসরকারি বা খাত ভিত্তিক চিন্তা না করে সবার নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আর এজন্য সামাজিক বিমা বেশ কার্যকর।

তবে বিমাখাতে মানুষের আস্থা না থাকায় সরকারের শক্ত ভূমিকা ও চাকরিদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ ছাড়া সামাজিক বিমা চালু করা কঠিন বলে মনে করেন আলোচকরা।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রচলিত বিমাখাত নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও ব্যাংকখাতে মোট আমানত হিসাবের ৯১ শতাংশই সুরক্ষিত আছে আমানত সুরক্ষা তহবিলের মাধ্যমে।

এসময় আলোচকরা বলেন বিশ্বব্যাপী সামাজিক বিমা কার্যকরি উদ্যোগ হলেও বাংলাদেশ তার ব্যাতিক্রম। এ দেশে সবার কল্যাণে সার্বজনিন নীতি নেয়ার উদাহরণও কম।