ইউনূসকে নিয়ে আমেরিকার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ (৩০শে জানুয়ারি)  সকালে, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪ জন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান,ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকরাই মামলা করেছে, সরকার নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউনূসের সংগঠনের সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলাটি দায়ের করেছেন এবং অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বিচার চলছে।

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নয়, সরকারই তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করেছে।

এ দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ইউনূসের কোম্পানির সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ মামলা করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা তৃতীয় খোলা চিঠিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অব্যাহতভাবে বিচারিক হয়রানি এবং সম্ভাব্য কারাগারে আটকের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১২৫ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ২৪১ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতা।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন সহকর্মীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং আপিল বিবেচনা চলাকালীন তাদের জামিন দেওয়া হয়।