লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুড়ে গেছে কমপক্ষে ১১ শত বাড়িঘর। এছাড়া এই দাবানলের কারণে দুই শতাধিক বাসিন্দা নিখোঁজ হয়েছে, তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি, এনডিটিভিতে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। এছাড়া উপকূলীয় পর্যটন শহর ভিনা ডেল মার মেয়রও বলেছেন, দাবানলে দুই শতাধিক বাসিন্দা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভয়াবহ এই দাবানলে সারা দেশে ৪৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মূলত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবং প্রবল বাতাসের কারণে এই দাবানল আরও তীব্র রূপ ধারণ করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্য চিলিতে দাবানলে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক শনিবার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দাবানলের কারণে কালো ধোঁয়া ভালপারাইসো অঞ্চলের অনেক অংশে আকাশে ছেয়ে গেছে। মধ্য চিলিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস করে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা হেলিকপ্টার এবং ট্রাক ব্যবহার করে আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছেন।
শনিবার চিলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় পর্যটন শহর ভিনা ডেল মারের আশপাশের এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উদ্ধারকারী দলগুলো সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য সংগ্রাম করছে।
প্রেসিডেন্ট বোরিক দাবানলে প্রাণহানির আপডেট দিয়ে বলেছেন, আগুনে ৪০ জন মারা গেছে এবং দগ্ধ আরও ছয়জন হাসপাতালে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যয়কর এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। পরিস্থিতি সত্যিই খুব কঠিন।’