বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শনিবার দুপুরে একটি গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি সিএনজি অটোরিকশায়। তবে সেই সময় কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। আজ আবার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও রকেট লঞ্চার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা।
এর আগে গতকাল রাতে একটি মর্টার শেল তুমব্রু কোনারপাড়ার ইলিয়াস হোসেনের বসতঘরের টিনে পড়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমারে এখনো প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি আমরা। এবার গোলাগুলির শব্দের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।