প্রকৃতিতে লেগেছে নবপ্রাণের ছোঁয়া। গাছের ধূসর পাতারা ঝরে পড়েছে এরই মধ্যে। কচি পাতা উঁকি দিচ্ছে শাখা-প্রশাখায়। ফুলের বাগানেও এখন অলির গুঞ্জরণ। আগুন রাঙা পলাশ আর শিমুল প্রস্ফুটিত শাখে শাখে। তারই মাঝে আনমনে ডেকে চলেছে কোকিল। বার্তা দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে।
বসন্ত এলেই যেনো প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে লাল করে দিয়ে হেঁসে উঠে শিমুল ফুল।ঋতু চক্রের আবর্তনে শিমুল ফুল তার মোহনীয় সৌন্দর্য্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে।শিমুল ফুলের লাল আবীর বসন্তকে দিয়েছে এক অন্যমাত্রা।প্রকৃতির এই অপরূপ রঙ্গের সাজ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।সব কিছুর মধ্যেও প্রকৃতিকে অন্যরকম সাজিয়েছে শিমুল ফুল।

তবে আধুনিকতার ছোয়ায় ও উন্নয়নের ধারায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ গাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে।গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে এখন আর এ ফুলের গাছটি তেমন একটা চোখে পড়ে না।কয়েক বছর আগেও গ্রামের মেঠোপথে ও বাড়ির আঙ্গিনায় কম বেশী দেখা যেতো শিমুল গাছ।শিমুল ফুল শুধু সৌন্দর্য্য বর্ধনই করে না। শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। এর রয়েছে নানা ভেজস গুন।পেটের পিড়া সহ নানা রোগে এগাছের ছাল ব্যবহার হয়।

বসন্তের আগমনে সাথে সাথে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে শিমুল ফুলের লাল রংয়ের আভা ছড়িয়ে পড়ে চারি দিকে।এ লাল রং-কে আমাদের প্রকৃতি সজ্জিত হয় নতুন বূপে।আমরা বাংলার বসন্তে এই প্রকৃতি রক্তে রাঙা শিমুল ফুল অনন্তকাল ধরে দেখতে চাই বলে জানালেন জেলা উদীচীর সভাপতি মোঃ নাজমূল ইসলাম।

গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও উদ্ভিদ বিদ্যাবিভাগের বিভাগীয় প্রধান শুকলাল বিশ্বাস জানান, শিমুল ফূল বসন্ত কালের ফূল।এ ফুলই মানুষকে স্মরন করিয়ে দেয় বসন্ত এসেছে।এটি মালভেসি গোত্রের ফুল।এটি নানা কারনে ধংস হয়ে যাচ্ছে-বলে জানালেন এই উদ্ভিদবীদ।
বৈশ্বিক দুষন আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র আর সুন্দর্যকে।