চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
করোনার পর এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিবার্য কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে দেরিতে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরির কারণ রেজিস্টারে লিখে তা ওই দিনই শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে।
এছাড়াও দুই পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে কোনো ধরনের বিরতি থাকবে না। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা শুরুর তিনদিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার হলে অবশ্যই প্রবেশপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে ও ব্যবহার করতে পারবেন না।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, দেশের ১১টি বোর্ডে চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন ও ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭০০টি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৩৫টি।
এদিকে, প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত একমাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস বা এ সংক্রান্ত গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলবে নজরদারি। এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি চালাবে। সেই সাথে প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।