জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এ সময় কারাফটকে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান। এর আগে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিননামা কারাগারে পৌঁছায়।

জেল থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অপরদিকে, আমীর খসরু বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। ক্ষমতা দখল করেও সরকার পরাজিত হয়েছে।

একদিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফখরুলসহ বিএনপি'র তিন নেতা - BBC News বাংলা

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাসহ মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। অন্য মামলায় জামিন পেলেও দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন। অবশেষে বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) ওই মামলায়ও জামিন পেয়েছেন দুজন।

১০৫ দিন পর কারামুক্ত হলেন আমীর খসরু

এর আগে গত বছরের ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হন। আহত হন পুলিশের একাধিক সদস্য, এছাড়াও ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত বছরের ২৯শে অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।