জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলেই পতাকা বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রতিবারই বাংলাদেশ যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে। আর ভারত প্রতিশ্রুতি দেয় সীমান্তে হত্যার সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার।
তিনি বলেন, বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করবে, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের থেকে এমন প্রতিশ্রুতিও শুনেছে অসংখ্যবার। ভারতের পক্ষ থেকে এমন প্রতিশ্রুতি বারবার দেয়া হলেও সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এমনকি বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করে সাধারন মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও বিভিন্ন মামলায় আটকে রাখার ঘটনাও কম নয় বিএসএফয়ের। আর সর্বশেষ চলতি বছরে প্রথম সীমান্ত হত্যার শিকার হলেন বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীরই একজন সদস্য।
হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে যে কারণে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে সেই লক্ষ্যকে উধাও করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বহুবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ৭৫ সালে ১১ মিনিটের ব্যবধানে সংসদে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ সংঘাতের রাজনীতি চান না। তার সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে রাজনীতি চায়। সত্যিকারের উন্নয়ন চায়। শুধু ঢাকার উন্নয়ন চাননা।
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে কোথাও কী আছে যে সীমান্তে শতাধিক মানুষ গুলিতে মারা যায়? দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দেশের সীমান্তে সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারে? আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সংঘাতের রাজনীতি চান না। তার সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে রাজনীতি চায়। সত্যিকারের উন্নয়ন চায়। শুধু ঢাকার উন্নয়ন চাননা।
জেএসএফ এর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আধুনিক বিশ্বে কোথাও কী আছে যে সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ গুলিতে মারা যায়? দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দেশের সীমান্তে সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারে? আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, সীমান্তের গোলাগুলিতে আমাদের দেশের কয়েকজন নাগরিক নিহত হয়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি। এর কারণ হলো সরকারের কোমরে জোর নেই। সরকার ভারত, চীন এবং রাশিয়ার সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় বসে আছে। শেখ হাসিনা নিজেও বলেন, ভারত নাকি তাদের ক্ষমতায় রেখেছে।
তিনি বলেন, ড. হাছান মাহমুদ দেশের ডলার খরচ করে ভারতের মোদি সরকারের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে আমাদের সীমান্তে অন্যদেশ থেকে আক্রমণ হচ্ছে, কিন্তু তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কোনো খবর নেই।