জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ওই বৈঠক হয় বলে সরকারি সূত্রগুলো মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন দুই শীর্ষ নেতা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের বৈঠকটি পশ্চিমা উদ্যোগে হচ্ছে বলে আগেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঢাকাস্থ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি। ওই বৈঠকে নিজের ফর্মুলা নয় বরং জেলেনস্কি পশ্চিমা ফর্মুলা দেবেন, যা তার ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয় বলে বৃহস্পতিবার আগাম মন্তব্য করেন রুশ রাষ্ট্রদূত। ঢাকায় ডিকাব টক অনুষ্ঠানে পশ্চিমাদের কড়া সমালোচনা করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেন নিয়ে কথা বলে, কিন্তু গাজা প্রশ্নে তারা নিশ্চুপ। এটি তাদের দ্বৈতনীতির প্রকাশ। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক-বোঝাপড়া অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে পোক্ত দাবি করে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, জেলেনেস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক ঢাকা-মস্কো ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনই প্রভাব ফেলতে পারবে না।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
একই স্থানে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে সকালে সম্মেলন স্থলে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কাতার ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের এক সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেছেন। সফর শেষে শেখ হাসিনা আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।