বাংলাদেশ থেকে এবছর হজযাত্রী নিবন্ধনের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। ফলে ৪০ হাজারের বেশি কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বেশি খরচ, স্থানীয় নির্বাচন ও সৌদি আরব সময় না বাড়ানোয় কোটা পূরণ হয়নি বলে জানান হজ এজেন্সিগুলো।

চলতি বছর হজের জন্য নাম নিবন্ধন শুরু হয় গেলো নভেম্বর মাস থেকে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি সরকার। গত বছর ১০ই ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোটা পূরণ না হওয়ায় চার দফা সময় বাড়ায় সরকার। তার পরেও কোটা পূরণ হয়নি।

শেষ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪ হাজার ২৬০ জন এবং বেসরকারিভাবে ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজ করার জন্য নিবন্ধন করেন। বিশেষ বিবেচনায় নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার পরও ৪৪ হাজার ৪৩ জনের কোটা খালি আছে।

হজ এজেন্সিগুলো জানায়, সৌদি আরব সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একটি হজ এজেন্সি ২৫০ জনের কম হজযাত্রী হজে নিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে যারা কোটা পূরণ করতে পারেনি অন্য এজেন্সির সাথে সমন্বয় করে কোটা পূরণ করতে হচ্ছে তাদের।

হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন বাংলাদেশ হাবের সভাপতি জানান, যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের সেবার মান ভালো করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে এজেন্সিগুলোকে।

হজযাত্রীদের ভিসা দেয়া হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এ বছরও সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে।