সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি পেটার ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চকেই দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছিল।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতেই না বলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ করতে পারলেই দেশ আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।

হাছান মাহমদ বলেন, সকল আলোচনা-সমালোচনাকে ছাড়িয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকার সমালোচনাকে সব সময়ই সাধুবাদ জানায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘তাদের দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে’ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন তাদের কোনো না কোনো নেতা-কর্মী ছাড়া পাচ্ছে, তাহলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোথায়?”

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রাম বিভাগের উন্নয়নে বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে ৮৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম বদলে গেছে। বহু বছর ধরে বলা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু টানেলের কথা। এটি যে বাস্তবায়ন হবে অনেকেই ভাবেনি। কিন্তু আজ সেটি দৃশ্যমান বাস্তবতা।”

চট্টগ্রামের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এত সুন্দর মেরিন ড্রাইভ হবে আমরা ভাবিনি, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল হবে যা দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নেই -এটিও আমরা কেউ ভাবিনি। মঙ্গলবার ২৪ জন বিদেশি মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনীতিক চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে এগুলো দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।”

তিনি বলেন, “আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করব, এখন সমীক্ষা চলছে। মূল শহরে এটি পাতালে হবে। শহরের বাইরে সেটি এলিভেটেড এক্সপ্রেস আকারে হবে। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শিল্প এলাকা হবে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প এলাকা। এখানে ১৫ লাখ মানুষ কাজ করবে, আরো ২০ লাখ মানুষ জড়িত থাকবে।”

বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক কমিটির সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সচিব মমিনুর রশিদ আমিন, উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম ও সাবেক তথ্য সচিব দিদারুল আনোয়ার বক্তব্য দেন।