দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবারও বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১২ কেজির সিলিন্ডারে এবার আট টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, মার্চ মাসে এলপিজির ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে এক হাজার ৪৮২ টাকা, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল এক হাজার ৪৭৪ টাকা। সেই হিসাবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে আট টাকা।

এলপিজির সমন্বয়কৃত এ মূল্য কার্যকর হবে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মার্চের জন্য বোতলজাত সাড়ে পাঁচ কেজি এলপিজির দাম ৬৭৯ টাকা। এ ছাড়া বোতলজাত সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি এক হাজার ৫৪৪ টাকা, ১৫ কেজি এলপিজি এক হাজার ৮৫৩ টাকা, ২০ কেজি এলপিজি দুই হাজার ৪৭০ এবং ৩০ কেজি এলপিজির দাম ঠিক করা হয়েছে তিন হাজার ৭০৬ টাকা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১২৩ টাকা ৫২ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৫৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৯০ করা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৮ টাকা ৫ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।