নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের হার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি। রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাহুল।

বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতে যুব বেকারত্বের হার ছিল ২৩.২২ শতাংশ, পাকিস্তান (১১.৩ শতাংশ) এবং বাংলাদেশের (১২.৯ শতাংশ) চেয়ে বেশি। রাহুল গান্ধী দেশে বেকারত্বের উচ্চ স্তরের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি যেমন নোটবন্দীকরণ এবং পণ্য ও পরিষেবা করকে  দায়ী করেছেন।

কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেছেন যে, এই নীতিগুলি এমএসএমই সেক্টরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যে সেক্টরে  দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ নিযুক্ত । রাহুল গান্ধী ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্যের উপর জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এই দেশে, আমাদের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের সমান সম্পদের পরিমাণ মাত্র ২২ জন ব্যক্তির হাতে  রয়েছে। ৫০ শতাংশ দরিদ্রের কাছে দেশের সম্পদের মাত্র তিন শতাংশ রয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ ধনী ভারতের  ষাট শতাংশ সম্পদের মালিক। রাহুল গান্ধী ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্যের বিষয়টিও তুলে ধরেন । তিনি আদানিকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন  যে -আদানি বেশিরভাগ বিমানবন্দর, বন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং হিমাচলের আপেল বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার  অভিযোগ করেছেন।

দাবি করেছেন যে দেশের সম্পদ সেইসব ব্যবসায়ীদের  হাতে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। রাহুলের মতে, দেশের  বেকার যুবকরা এখন কর্মহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস