মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সোমবার দু’দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৭৫ সদস্য। এর মধ্যে সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের জামছড়ির ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে পালিয়ে আসে ২৯ সদস্য। একইদিন সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে আরও ১৪৬ জন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে গিয়ে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর জামছড়ি ওয়ার্ডের মেম্বার সাবের আহমদ।
স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার বিকেলে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকায় ভীড় করেন উৎসুক জনতা। এ সময় হঠাৎ মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া একটি গুলি এসে লাগে মেম্বার সাবের আহমদের কোমরের ডান পাশে।
সাবের আহমদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনও। আহত এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মি ও স্বাধীনতাকামী নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর যৌথ স্বশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের জান্তা সমর্থিত সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।