এবার রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর রামরি দখল করলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তিন মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে গোষ্ঠীটি।

আরাকান আর্মি বলছে, গত তিনমাসে তুমুল লড়াই, জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা ও বিপুল সংখ্যক সেনা হারানোর পরও সোমবার শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি জান্তাবাহিনী। কৌশলগতভাবে শহরটি দুই পক্ষের জন্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। চীনের অধিকাংশ ব্যবসায়িক স্থাপনা রামরিতেই অবস্থিত তাই এর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা জান্তা বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে রামারি শহরে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা অনেক হাসপাতাল, বিপণিবিতান, স্কুল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। আরাকান আর্মি বলছে, পালিয়ে যাওয়ার আগে জান্তা সৈন্যরা বিভিন্ন স্থানে মাইন বোমা পুঁতে রেখেছে। এ কারণে স্থানীয়দের নিজ বাড়িতে বিলম্বে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
 
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি আরও বলছে, পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তারা রাথেডাং শহরে জান্তা ব্যাটালিয়ন সদর দফতর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির দলকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জেনারেল মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সামরিক জান্তা। এরপর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। যদিও গত অক্টোবরে বিদ্রোহীরা একযোগে আক্রমণ শুরু করে। হারাচ্ছে একের পর এক সেনা ঘাঁটি।
 
গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮০টি দুর্গ ও নয়টি শহর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে জোর করে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেছে জান্তা সরকার।