জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সাক্ষরিত পৃথক চারটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১১(১০) মোতাবেক আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

একই আইনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, সদস্য হিসেবে আছেন সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আবুল হোসেন, কলা অনুষদের ডিন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। এছাড়া এতে সদস্য সচিব আছেন আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাশ।

এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।