পাশের দেশের অস্ত্র কেএনএফের হাতে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, একটি প্রতিবেশি দেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলো তাদের অস্ত্র এখন বান্দরবানকে অশান্ত করার জন্য দায়ী – কেএনএফের হাতে এসেছে।
শনিবার (৬ই এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেএনএফে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি, যেগুলো এখনও চলমান আছে। তারা গত তিন-চার দিনে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছে। তারা একই সময়ে অন্য ব্যাংকে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাদের বেশকিছু গোষ্ঠী আছে, যারা একসঙ্গে হামলা চালায়। এমন অবস্থায় আজ থেকেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সকালে বান্দরবান গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মনে করছি তাদের (কেএনএফের সন্ত্রাসীদল) মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যা যা করা দরকার সব করবে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাবো। কোনোক্রমেই আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেবো না। এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।