মিয়ানমারে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৯ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট থেকে ৩ জন ও ঝিমংখালি পয়েন্ট দিয়ে ৬ জন ঢুকেছেন বলে জানা গেছে।

টেকনাফ-২ এর বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহি উদ্দিন আহমেদ এর  সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মিয়ানমারে চলা সংঘাতে যে কোনো ধরনের অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে সর্তক অবস্থায়  রয়েছে বিজিবি।

সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইনে দিনের পর দিন সংঘাত বেড়েই চলছে। সপ্তাহে জুড়ে নতুন করে থেমে থেমে ওপার থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি ও ঝিমংখালি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) ৯ জন সদস্য ঢুকেছে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে নিজেদের হেফাজতে নেন।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, আজ সকালে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৯ জন সদস্য সেদেশ থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি ও ঝিমংখালি সীমান্তে ঢুকেছে। পরে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে, তাদের হেফাজতে নেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও মিয়ানমারের রাখাইনের আরাকান আর্মি (এএ) ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যেই চলা সংঘাত থেকে টেকনাফ সীমান্তে ১২৯ জন  বিজিপি’র সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।