নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতার পক্ষে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ শে এপ্রিল) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগ জলঢাকা শাখার ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আগামী ২৮শে এপ্রিল জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তফসীল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় থেকে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাদ্দাস হোসেন পাভেল প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেটের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এমনকি ওই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অর্থ ব্যয় করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ায় জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন নোভা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারগণ ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জলঢাকা থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, একই অভিযোগ এনে গতকাল শুক্রবার রাতে সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেন জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তারুল আলম জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। এসময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নাসিব সাদিক নোভাসহ পৌর আওয়ামী লীগের নয়টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।