গাজার রাফায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি উপেক্ষা করেই ভূখণ্ডটিতে বন্দুক ও হেলিকপ্টার যোগে বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। রাতভর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তিন ফিলিস্তিনি। আহত অনেকে।
আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে সীমান্তে বিপুলসংখ্যক ট্যাংকসহ যুদ্ধসরঞ্জাম ও সেনা জড়ো করছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগ কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাফায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যা ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহে চালানো হামলার সমান। এই সময়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬০ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপগুলো জানিয়েছে, তারা পূর্ব দিকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের স্থল বাহিনী পূর্ব রাফাতে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
জাতিসংঘ আরও সতর্ক করে বলেছে, গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাচ্ছে, কারণ ভূখণ্ডটি কাছাকাছি ক্রসিং দিয়ে কোনও সাহায্য পাচ্ছে না।
চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। সে সময় জাতিসংঘ বলেছিল, সংস্থার কর্মীদের এবং সহায়তাবাহী লরিগুলোর জন্য কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে পৌঁছানো খুবই বিপজ্জনক ছিল।
এদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেন প্রাশাসনের হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে ইসরাইল ‘একা’ লড়াই করবে। ফিলিস্তিনের হামাসকে পরাজিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা একা লড়বে।