প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বেতন কত হবে, তা নির্ধারণ করে আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বছরের ১৭ এপ্রিল আইনের খসড়া উঠেছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
‘আইনের আওতায় বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ যে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন সেটি ছিল ১৯৮৩ সালের। সেটি দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড কমিশনারস (রিমিউনেরেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজস) অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩।’
তিনি বলেন, আমাদের উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিল সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে।
‘আইনে মূলত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে যে আইনটি ছিল মূলত সেই আইনকে অনুসরণ করা হয়েছে। সেটি হলো যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিমাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। আর নির্বাচন কমিশনার পাবেন ৯৫ হাজার টাকা। বিশেষ ভাতা হিসেবে তারা উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। তারা উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন ৮ হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে।
শুধু আইনের ভাষাটি ইংরেজি থেকে পরিবর্তন করে বাংলায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তাদের (প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার) পদমর্যাদা ঠিক থাকছে কি না? প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।