দিন দিন কমে যাচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমের ধবল গরু। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই গরু পালন বন্ধ করে দিয়েছে অনেক খামারি। মিরকাদিমে দুই শতাধিক ধবল গরুর খামার ছিল, কমতে কমতে এখন টিকে আছে মাত্র ১০ থেকে ১২টি।
কোরবানীর পশুর জন্য পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল গরু। এই গরুর বৈশিষ্ট হলো চোখের পাপড়ি, নাকের সামনের অংশ, পায়ের খুর, লেজের পশমসহ সারা শরীর সাদা।
তবে ইদানিং কমে যাচ্ছে মিরকাদিমের ধবল গরুর সংখ্যা। এক সময় যেখানে দুই শতাধিক খামার ছিলো, এখন টিকে আছে মাত্র ১০ থেকে ১২টি । খামারীরা জানান, বিশেষ জাতের এই গরুকে কোরবানীর সময় বিক্রির জন্য বছর জুড়ে খাওয়াতে হয় মিনিকেট চালের খুদ, খৈল, ভাত, ভাতের মারসহ নানা ধরণের ভূষি।
কিন্তু ধবল গরুর এসব খাবারের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো আর লাভ হয়না। তাই এই পালন ছেড়ে দিয়েছেন অনেক খামারী।
তবে দৃষ্টিনন্দন ধবল গরু পালনে খামারীদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম । বিলুপ্তপ্রায় এই প্রজাতির গরু পালনের জন্য নতুন খামারি তৈরি এবং পুরাতন খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।