কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় শিশু। বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে একটানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস হওয়ায় এলাকাগুলো পাহাড়ধস প্রবণ। একারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের চোরাখোলা এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটা তাঁরের বাইরে মাটির দেয়াল চাপায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভারি বৃষ্টির কারণে পালংখালী ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার উলা মিয়ার ছেলে শাহ আলম এর বাড়ির দেয়াল ভেঙে যায়। এসময় শাহ আলমের শিশু ছেলে আব্দুল করিম (১২) মাটির দেয়াল চাপায় মারা যান। নিহত শিশু আবদুল করিম থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী বলে জানা গেছ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে।
কক্সবাজারে মঙ্গলবার রাত থেকে একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এবং জেলা শহরসহ কয়েকটি উপজেলার পাহাড়ি এলাকা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর কারণে সারাদেশে বৃষ্টি ও কয়েকটি অঞ্চলে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝেড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।