অতি শক্তিশালী হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) ক্যারিবীয় অঞ্চলের বার্বাডোজ, গ্রেনাডাসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপে আঘাত হানে অতি বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড়।

আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার। আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

হারিকেন ‘বেরিল’-এর আঘাতে সমগ্র অঞ্চলে দুর্ভোগে পড়েছে বহু মানুষ। গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল জানান, মাত্র আধ ঘণ্টায় ক্যারিয়াকো দ্বীপকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে হারিকেন বেরিল। এরইমধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে অনেক বাড়ির ছাদ। উপড়ে গেছে গাছপালা। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাতিল করা হয়েছে বহু ফ্লাইট।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হারিকেনের আঘাতে এরইমধ্যে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হারিকেন বেরিল কিছুটা দুর্বল হয়ে এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। বুধবার পর্যন্ত অঞ্চলটিতে এর প্রভাব থাকতে পারে।

উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোকে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছে এনএইসি। এছাড়া হারিকেন বেরিল মোকাবেলায় বার্বাডোস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও  গ্রেনাডাইনস এবং টোবাগোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ক্যারিবীয় এই অঞ্চলে বেরিল আঘাত হানার আগেই বিমানবন্দর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিলো।