ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ৯ তলা বাড়ি চারটি ফ্ল্যাট ও এক হাজার ১৯ শতাংশ জমি ক্রোকাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৩০ জুলাই এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন আদালতে আসামির সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি এনামুল হক তাঁর মালিকানাধীন ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে এনামুলের অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা ব্যর্থ হবে। তাই মামলা তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে তাঁর স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আদালত ক্রোকের ওই নির্দেশ দেন।এনামুলের ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীতে ৯ তলা ভবন, বনানীতে একটি ফ্ল্যাট, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহান ভবনে একটি ফ্ল্যাট ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস, কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে দুটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরে ১৫ তলা আফতাব টাওয়ারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার পুরো বাণিজ্যিক স্পেস, মোহাম্মদপুরের সাড়া সন্ধানী লাইফ টাওয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ফ্লোর। এ ছাড়া রাজধানীর বাড্ডায় চার কাঠা ও গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় পাঁচ কাঠা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।