দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে, তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, পরিস্থিতি জটিল হোক তা চায়না সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে আইনমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবেনা বলেও জানান তিনি। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কিভাবে নেয়া যায় সেই চেষ্টা চলছে।
আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীদের দাবি ও চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ (বুধবার) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দপ্তরে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বিবেচনা করতে পারছি না। ঘোষণা দিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা কারো কাম্য নয়। সেজন্য আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
“এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলমান। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রক্রিয়াটা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছি। সেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো আগে নিশ্চিত করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে খুলে দিয়ে আবারও অরাজকতা আমরা চাচ্ছি না।”
শিক্ষার্থী বা আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথম থেকে দেখা যাচ্ছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই করতে, সেই করতে। কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করছে, তারা কিন্তু সেটা আর শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছে না।”
“আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা আগেই স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়টা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। দুই কোটির বেশি শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আগে খোলা যায় কিনা পর্যালোচনা করছি। এই সপ্তাহ কারফিউ বলবত আছে। জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা অবস্থা বুঝে কারফিউ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে আমরা স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেব। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এক ধরনের হতে পারে, বিদ্যালয়গুলোর জন্য এক ধরনের হতে পারে।”
শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়ে যাতে করে কেউ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে আমরা সেই অনুরোধ করব।”
“আল্টিমেটামের পর যখন হত্যাযজ্ঞ হয়, নরহত্যা হয়, রগ কেটে দেওয়ার মতো কাজ হয়, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়ার মতো কাজ হয়, তখন আল্টিমেটাম যারা দিচ্ছেন তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন থাকবে যে আল্টিমেটামের উদ্দেশ্য কী এগুলো?”