স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন একটা সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে এ আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। এ আন্দোলনে আমরা বর্বরতা দেখেছি। বুধবার (২৪শে জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করবো। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই কারফিউ দিয়েছি। এই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনের সময় সহিংসতার জন্য জামায়াত-বিএনপি ও জঙ্গিরা দায়ী। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না। তিনি বলেন, একটি অচল অবস্থা তৈরির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গিরা এক হয়ে এ ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটিয়েছে। আমরা কোনো সময়েই দেখিনি থানা ভবন আক্রমণ করতে, কারাগার আক্রমণ করতে। এগুলো আমরা নতুন করে দেখলাম।

মন্ত্রী বলেন, পুলিশকে চিহ্নিত করে ধরার জন্য মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকতে পারেনি। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না। আগামী দু-চার দিনের মধ্যে সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ জনগণ কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণ কতজন মারা গেছেন, তার কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই। কোনো থানায় এ সংক্রান্ত কোনো মামলাও হয়নি। পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে, এ বিষয়ে পরে বলা যাবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কয়েকজনকে পাওয়া যাচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাদের পরিবার থেকেও আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।