ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে ডাম্বুলা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতকে আট উইকেটে হারায় দলটি। টসে জিতে শুরুতে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে দলটি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে উদ্বোধনী ব্যাটার স্মৃতি মান্দানা। ৪৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার বিষ্মী গুণারত্নে ফেরেন রান আউট হয়ে। দলের সংগ্রহ তখন মাত্র ৭। তবে এরপর দারুণভাবে হাল ধরেন চামারি আতাপাত্তু ও হার্শিথা সামারাবিক্রমা। দুজন মিলে দলকে নিয়ে ৯৪ রান পর্যন্ত। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা চামারি আজকেও ম্যাচ জেতানোর পথেই ছিলেন। ৩৩ বলে হাঁকিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি। তিনি যতক্ষণ ছিলেন শ্রীলঙ্কা সহজ জয়ের পথেই হাঁটছিল।
১২তম ওভারে ভাঙে তাদের জুটি। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার হাঁকিয়ে আসরে নিজের ৩০০তম রানের দেখা পান চামারি। কিন্তু শেষ বলে ভারতীয় স্পিনার শর্মার বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৪৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সামারাবিক্রমা। ১৪তম ওভারে তার এক চার ও ২ ছক্কায় আসে ১৪ রান।
শেষ ৩৬ বলে ৫৩ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। ১৫তম ওভারে ১০ রান তুলে চাপ কিছুটা কমান দুই ব্যাটার। ১৬তম ওভারে মিড অফে সামাবিক্রমার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌর। মূলত সেখানেই ম্যাচ ফসকে যায় ভারতের হাত থেকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৭তম ওভারে ফিফটি পূর্ণ করেন সামারাবিক্রমা।
শেষ ১৮ বলে ২৫ রানের লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার সামনে। সামারাবিক্রমা ও কাভিশা দিলহারির ব্যাট থেকে ১৮তম ওভারে আসে ১৭ রান। তাতে ম্যাচ পুরোপুরি ভারতের হাতছাড়া হয়ে যায়। পরের ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন দিলহারি। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। ভারতের ইনিংসে কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি। পরে ব্যাট হাতে যা পুষিয়ে দিলেন এই ব্যাটার। সেই সঙ্গে নিজের দলকে পৌঁছে দিলেন জয়ের বন্দরেও।
ম্যাচ শেষ করার পথে ১৬ বলে ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন দিলহারি। আর সামারাবিক্রমা মাঠ ছাড়েন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন তিনি। আর পুরো আসরে ৩০৪ রান ও ৩ উইকেট নেওয়া চামিরা আতাপাত্তু নির্বাচিত হয়েছে টুর্নামেন্ট সেরা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় দল রান তুলেছে ভালো গতিতেই। ওপেনার শেফালি ভার্মা ১৯ বলে ১৬ রান করে বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৬০ রান। ১০ চারে সাজানো ইনিংসটি। তিনে নামা উমা ছেত্রী (৯) ও চারে নামা হারমনপ্রীত (১১) ব্যর্থ হলেও শেষদিকে রদ্রিগেজ (২৯) ও রিচা ঘোষ (১৪ বলে ৩০ রান) মিলে ভারতকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন। কিন্তু মিস ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসের মহড়ার কারণে শেষ পর্যন্ত হারতে হয় তাদের।