কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নারায়ণগঞ্জে অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়েছে বহু যানবাহন। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার। আন্দোলন ও কারফিউর কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পোশাক খাত।

গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, সরাসরি তাদের ক্ষতি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের। হাতছাড়া হয়েছে ৪ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ। সরকারি সহযোগিতা না পেলে বহু পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা চালায় দুর্বৃত্তরা। পাসপোর্ট অফিস, পিবিআই কার্যালয়, যুব উন্নয়ন কার্যালয়, নগর ভবনসহ অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বহু যানবাহন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া পিবিআই অফিসের ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা, নগর ভবনের ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া একটি স্পিডবোট কারখানার ক্ষতি ১০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নারায়ণগঞ্জে ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।

সহিংসতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত।

ব্যবসায়ীরা জাানালেন, আন্দোলন চলাকালে ৫ দিনে ক্ষতি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের। এছাড়া কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের অর্ডার হাতছাড়া হয়েছে। অনেক ক্রেতা যোগাযোগের অভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে।

পোশাক খাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা সহসাই কাটিয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখছেন না খাত সংশ্লিষ্টরা। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। জুলাই মাসে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ নিয়েও আছে শঙ্কা।

এ খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পোশাক-কারখানার মালিকরা।