শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হয়েছে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতা ধরে রাখা শেখ হাসিনাকে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তাদের মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে। এজন্য সরকার পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার জন্য ‘সহকারী উপদেষ্টা’ হিসেবে তাদের নিযুক্ত করার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ছাত্র সমাজ আমাদের দেশের একটি বড় শক্তি। নতুন সরকারের সঙ্গে আমরা তাদেরও কাজের সুযোগ দিতে চাই। এ লক্ষ্যে উপদেষ্টাদের সঙ্গে ‘সহকারী উপদেষ্টা’ পদ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ তৈরি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের যে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ছিল, আমাদের বড় বড় দলগুলোও কিন্তু সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে জায়গায় আমাদের ছাত্র সমাজের মাধ্যমেই একটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। এই ছাত্রদের ওপর আস্থা রেখেই জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। এখন আমাদের ছাত্র সমাজই যেহেতু সরকার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, আমি আশা করব আমাদের সাধারণ জনগণও এই ছাত্র সমাজের ওপর আস্থা রাখবে।

তিনি বলেন, আমাদের উপদেষ্টা প্যানেলে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ব্যক্তিদের মনোনীত করেছি এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমরা দুইজন উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছি। এর পাশাপাশি উপদেষ্টাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছাত্ররা কাজ করার সুযোগ পাবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আমরা আজই দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি, আমরা আজ থেকেই কাজ শুরু করব। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমরা এখন থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দেব।