ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আজ শুক্রবার দুপুরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যাননি গভর্নর আব্দুর রউফ। সবশেষ গত রোববার অফিস এসে বেশিক্ষণ থাকেননি গভর্নর।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খোঁজ মিলছে না গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে আসছেন না। অনেকে বলছেন, দেশ থেকে পালাতে তিনি অনেক মহলে দেনদরবার করে যাচ্ছেন।

এদিকে গত বুধবার (৭ আগস্ট) নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ওইদিন বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর। তারা হলেন– কাজী সাইদুর রহমান, খুরশীদ আলম, হাবিবুর রহমান এবং নুরুন নাহার। এর মধ্যে কাজী সাইদুর রহমান ক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন।

অন্যরা পদত্যাগ করবেন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ত্যাগ করেন। আর বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস এবং নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারী কর্মকর্তারা।

পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল বলে জানান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা ব‌লেন, ব্যাংক খাতের ভঙ্গুরতার কারণে দেশে অর্থনীতির আজকের এই খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কষ্টে আছে। এখন শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র সংস্কারের দাবির সঙ্গে তারা সহমত পোষণ করে অবিলম্বে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। গভর্নরসহ বিভিন্ন অনিয়মে দায়ী এসব কর্মকর্তা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া যেসব নির্বাহী পরিচালক অনিয়মে সহায়তা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।