বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরে বিক্ষুব্ধ মানুষের রোষানলের শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ভাঙচুর করা হয় বাহিনীটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও থানা। অনেক সদস্যই কর্ম বিরতিতে চলে যান। বিরতির পরে সারাদেশের আজ শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৮৪টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৪৫৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিন, ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোতে সংস্কারের কাজও করে শিক্ষার্থীরা। পোড়া জিনিসপত্র সরানো ও ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র খুঁজে বের করে তারা।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের মাঠে রাখার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দূর করার পাশাপাশি, রাষ্ট্র সংস্কারেও নিবেদিত রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কখনও দেখা যাচ্ছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে, আবার কখনও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দায়িত্বে। এবার শৃঙ্খলা ফেরাতে অকার্যকর হয়ে থাকা থানা সংস্কারেও নেমেছেন তারা। পুলিশের অনুপস্থিতিতে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় বেড়ে যাওয়ায় থানাগুলো দ্রুত চালু করতে সহযোগিতার জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ আগস্ট পুড়িয়ে দেয়া হয় মোহাম্মদপুর থানা ভবনটি। শনিবার পুড়ে যাওয়া থানাটি সংস্কারের জন্য কাজ করেন তারা। দ্রুত পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দেয়ার আহবানও তাদের।
এদিন, সারাদেশে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ডিএমপির ২৯ টি স্বল্প পরিসরে চালু হলেও ধানমন্ডি, তেজগাঁওসহ কয়েকটি থানায় আইনি সেবা নিতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, পুলিশের কাজে ফেরায় জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরছে।
থানা ও পুলিশ বাহিনী সবসময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত উল্লেখ করে বাহিনীর উপর আস্থা রাখতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের মাঠে রাখার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।