রাজধানীবাসীর ভোগান্তি কমাতে আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকেই মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া বন্ধ রেখেই আপাতত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে।

রবিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। আপাতত দুই স্টেশন বন্ধ রেখে দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল ট্রেন চলবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংঘাত-সহিংসতায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপাতত এ দুটি স্টেশনে ট্রেন থামবে না।

গত মাসে সাবেক সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে মেট্রোরেল পুনরায় চালু হতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

এর আগে আজ সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য পুরো প্রস্তুত থাকব। তবে ঠিক কবে থেকে মেট্রোরেল চালু হচ্ছে, সেটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, অপারেশন পুনরায় চালু করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু করেছি। এজন্য প্রযুক্তিগত যেসব পরীক্ষা চালানো দরকার, তা করা হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ট্রায়াল রানও করে ফেলা হবে।

তিনি বলেন, ভাঙচুর করা স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আশা করি কমিটি শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে এ এই স্টেশন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে মেট্রোরেলের কর্মচারীরা গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) থেকে ‘বৈষম্যহীন’ বেতন কাঠামোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।

এটি চলতে থাকলে কীভাবে মেট্রোরেল চালু করা হবে জানতে চাইলে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনে কিছু কর্মী কর্মবিরতি পালন করছেন। এটি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। মেট্রোরেল সার্ভিস চালুতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।