নাইজেরিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৪৯ জন মারা গেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার (২৬ শে আগস্ট) দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (নেমা) বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র মানজো ইজেকিয়েল জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য— জিগাওয়া, আদামাওয়া ও তারাবাতো বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানে প্রায় ৪১ হাজার ৩৪৪ জন মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
মুখপাত্র ইজেকিয়েল রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত বন্যার পরিস্থিতির মধ্যে আছি, বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’
ইজেকিয়েল আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের উপরের দেশগুলোতে নাইজার নদীর পানি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পানি সবই নাইজেরিয়ার দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।’
বন্যায় দেশটির প্রায় ৬৯৩ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনিতেই নাইজেরিয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে কৃষি খাতে সমস্যা বাড়িয়েছে। দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বার বার জঙ্গিদের হামলার কারণে অনেক কৃষক খামার ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর দেশটির ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ৩১টি উচ্চ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর আগে, গত এক দশকের মধ্য ২০২২ সালে নাইজেরিয়া সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল। ওই বছর বন্যায় ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাস্তুচ্যুত হয়েছিল প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। এছাড়া প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এ বছর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশের কিছু কছু এলাকা বন্যার কবলে রয়েছে।