জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে জামিন দিয়েছে আদালত। অসুস্থ বিবেচনায় তাঁকে জামিন দেয়া হয়েছে। এর আগে, আজ সোমবার (দোসরা সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এর আগে বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে সময় ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মঞ্জুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
জানা গেছে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে আদালত ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদকের জিম্মায় জামিন দিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী।
এর আগেও তিনি দুইবার দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন।
তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বারের (১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০১৪) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মঞ্জু জাতীয় পার্টির এক অংশের নেতা, যা জেপি নামে পরিচিত। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে গঠিত ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন মঞ্জু। পরে ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করেন তিনি। সে সময় বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।