ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ এ ধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং সব সীমান্ত হত্যার তদন্ত পরিচালনা ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো এক প্রতিবাদপত্রে এসব কথা বলা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা-১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় স্বর্ণা দাস ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায়। সে পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। স্বর্ণার মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।