বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে। মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাসের মাথায় ৫৫ সদস্যের এই নাগরিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করলো শিক্ষার্থীরা। তবে এখনই এটিকে রাজনৈতিক দলে রূপ দেবার সিদ্ধান্ত হয়নি। থাকবে না রাজনৈতিক দলের মত কার্যক্রমও। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পৃথকভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
মূলত: দেশের তরুন ও যুবসমাজকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার কাজে সংযুক্ত করাই হবে এই জাতীয় কমিটির প্রাথমিক কাজ। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো যে স্বৈরাচারী ধারা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হলেও এখনই রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার কথা ভাবছে না কমিটির নেতারা। দল হিসেবে কার্যক্রম কবে কিংবা কিভাবে হবে সেটা ভবিষ্যতের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করেন তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকরা বলছেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এ কমিটি। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি সারাদেশের ৬৪ জেলা ও ১২টি মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠন করবে। এরপর জাতীয়ভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিল নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করবে।
কমিটিতে আছেন– ১। আহ্বায়ক- মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ২। সদস্য সচিব- আখতার হোসেন, ৩। মুখপাত্র- সামান্তা শারমিন।
সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন– ৪। আরিফুল ইসলাম আদীব, ৫। সাইফ মোস্তাফিজ, ৬। মনিরা শারমিন, ৭। নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, ৮। সারোয়ার তুষার, ৯। মুতাসিম বিল্লাহ, ১০। আশরাফ উদ্দিন মাহদি, ১১। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ১২। অনিক রায়, ১৩। জাবেদ রাসিন, ১৪। মো. নিজাম উদ্দিন, ১৫। সাবহানাজ রশীদ দিয়া, ১৬। প্রাঞ্জল কস্তা, ১৭। মঈনুল ইসলাম তুহিন, ১৮। আব্দুল্লাহ আল আমিন, ১৯। হুযাইফা ইবনে ওমর, ২০। শ্রবণা শফিক দীপ্তি, ২১। সায়ক চাকমা, ২২। সানজিদা রহমান তুলি, ২৩। আবু রায়হান খান, ২৪। মাহমুদা আলম মিতু, ২৫। অলিক মৃ, ২৬। সাগুফতা বুশরা মিশমা, ২৭। সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, ২৮। তাসনিম জারা, ২৯। মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, ৩০। মো. আজহার উদ্দিন অনিক। ৩১। মো. মেসবাহ কামাল, ৩২। আতাউল্লাহ, ৩৩। এস. এম. শাহরিয়ার, ৩৪। মানজুর- আল- মতিন, ৩৫। প্রীতম দাশ, ৩৬। তাজনুভা জাবীন, ৩৭। অর্পিতা শ্যামা দেব, ৩৮। মাজহারুল ইসলাম ফকির, ৩৯। সালেহ উদ্দিন সিফাত, ৪০। মুশফিক উস সালেহীন, ৪১। তাহসীন রিয়াজ, ৪২। হাসান আলী খান, ৪৩। মো. আব্দুল আহাদ, ৪৪। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ৪৫। মশিউর রহমান, ৪৬। আতিক মুজাহিদ, ৪৭। তানজিল মাহমুদ, ৪৮। আবদুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, ৪৯। মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, ৫০। এস.এম. সুজা, ৫১। মো. আরিফুর রাহমান, ৫১। কানেতা ইয়া লাম লাম, ৫২। সৈয়দা আক্তার, ৫৩। স্বর্ণা আক্তার, ৫৪। সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির, ৫৫। আকরাম হুসেইন।