ঢাকার আশুলিয়া এবং গাজীপুরসহ দেশের সব পোশাক কারখানা খুলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিএমইএর কাছ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাবার আশ্বাসে মালিকরা কারখানা খোলার রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এসব এলাকায় শ্রমিকরাও কাজে ফিরেছে। তবে আশুলিয়া এলাকায় নানা কারণে আজও ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের বাইপাইল, জামগড়া, শিমুলতলা, নরসিংহপুর, ঘোষবাগ, জিরাবো, কাঠগড়া, বাইপাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দেওয়ায় কোথাও কোনো প্রকার বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বাড়িয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা আজ খোলার কথা ছিল। প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হলেও ৪৫ টি কারখানায় শ্রমিকরা ও মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই আশুলিয়ায় শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। আন্দোলন বিক্ষোভের জেরে অনেক কারখানা বন্ধ রাখেন মালিকপক্ষ। এ সমস্যা দ্রুত নিরসনে বিজিএমইএ, কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের লোকজন ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকের পর সব পোশাক কারখানা মঙ্গলবার থেকে খোলার সিন্ধান্তের কথা জানায় বিজিএমইএ পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন ।
মঙ্গলবার সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানায় কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা। শিল্পাঞ্চলে কোনো ধরনের আন্দোলন বা বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা ইপিজেড এর কারখানাগুলোও চালু রয়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, সাভার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কোথাও বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। বেশীরভাগ কারখানাতেই উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। কারখানার সামনে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহলও আছে।
তবে আশুলিয়া এলাকায় আজও ১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। ২১টি কারখানার শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিয়ে আবার বের হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা বের হয়ে যায় বলে জানান। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে মালিকপক্ষ, বিজিএমই, সেনাবাহিনী মিলে কাজ করছে বলেও জানান পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন।