অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবানি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা করেন।
দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১১৫/৩০৭/৫০০/৫০৬ (২) ধারায় করা মামলায় হত্যার হুমকি ও মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অথবা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে জন্য বলেছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে ২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার যে গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা তাঁর মনে সুপ্তভাবে বিদ্যমান ছিল, তা দেশবাসীর কাছে প্রকাশ্যে কটু মন্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি পদ্মা সেতুতে টাকা বন্ধের চেষ্টার জন্য ড. ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত শেখ হাসিনা তাঁকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এবং হত্যার জন্য নিজ দলের সন্ত্রাসীদের প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আসামির বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে বাদী সংক্ষুব্ধ হন। ওই বক্তব্যের সময় আসামি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন থাকায় বাদী নিজের জীবনের হুমকির কারণে তখন আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।