খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা পার্বত্য ৩ জেলায় সড়ক ও নৌ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহসভাপতি নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির হামলাকে বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে দলের সহ-সভাপতি নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের উপর হামলাকে বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, “গতকাল খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সদরে বাস স্টেশনের বটতলা লারমা স্কোয়ারে মিছিল সহকারে এসে সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং দোকান-ঘরবাড়িসহ একটি বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করে।”
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পাহাড়ীদের ওপর এ ধরনের বর্বর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সরকার এ হামলার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার কোন বিচার আজও হয়নি। হাসিনার পতনের পর বর্তমান সরকারের অধীনে এমন হামলা পাহাড়িদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে পাহাড়িদের ওপর হামলা, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সেনা-সেটলারদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত-নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি শনিবার থেকে শুরু হওয়া তিনি পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘন্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।