সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরালেন হাইকোর্ট। তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ৬ মাসের মধ্যে। হাইকোর্টের এ আদেশে খুনিদের সনাক্তে আশার আলো দেখছেন মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের রোমান।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এই হত্যা রহস্যের কোনো কূল কিনারা করতে পারেনি কোনো সংস্থাই। পুলিশ, ডিবির হাতঘুরে মামলার তদন্ত ভার র্যারের কাছে গেলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ৮ বার পরিবর্তন হয়েছে র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। ১১৩ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মামলার বাদী রুনীর ভাই নওশের রোমান। নিয়োগ দেন আইনজীবীও। সোমবার র্যাবকে সরাতে হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানি শেষে র্যাবকে সরিয়ে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। হত্যা রহস্য উদঘাটন করে ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। উচ্চ আদালত বলেন, এতোদিন বিচার না হওয়া বেদনাদায়ক।
হত্যাকাণ্ডের বছর খানেক পর তদন্ত পায় র্যাব। আইনজীবী মনজিল মোরশেদের রিটের প্রেক্ষিতে আদেশ দিয়েছিলেন সে সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর মানিক। র্যাবকে দায়িত্ব দেয়া, ১২ ঝুলিয়ে রাখার নেপথ্যে অসৎ উদ্দেশ্য দেখছেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল।
আদালতের আদেশে আশার আলো দেখনছেন মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান। তদন্তের নামে হয়রানি করা হতো বলেও অভিযোগ তার।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসা থেকে সাগ-রুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ তদন্তে বাসা থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যাক্তির ডিএনএ আলামত মিললেও সনাক্ত করা যায়নি খুনীদের।