থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উপকণ্ঠে একটি স্কুল বাসে আগুন লেগেছে। এতে বাসটিতে থাকা বেশ কয়েকজন শিশুসহ ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে ব্যাংককের উত্তরের উপকণ্ঠে পতুম থানীর ভিভাভাদি রংসিত রোডে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
থাইল্যান্ডের পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়া আরও জানান, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বাসটি সিএনজি-চালিত (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। সম্ভব হলে এই ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য সিএনজি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটি উত্তরাঞ্চলীয় উথাই থানি প্রদেশের একটি স্কুল ফিল্ড ট্রিপ থেকে ফিরে আসা শিশু ও শিক্ষকদের বহন করছিল। মঙ্গলবার (পহেলা অক্টোবর) এসব তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। দুর্ঘটনাস্থলের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বাসটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উথাই থানী প্রদেশের ওয়াত খাও প্রয়া সাংখারাম স্কুলের নার্সারি থেকে ১৪ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুরা ছিল সেই বাসে। আয়ুথায়া ঐতিহাসিক পার্ক এবং ননথাবুরি প্রদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্তৃপক্ষের শিক্ষা কেন্দ্রে এক দিনের স্কুল ভ্রমণে গিয়েছিল তারা।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী পিয়ালাক থিঙ্কাও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাদের উদ্ধার করেছি তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। বাচ্চাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ছিল পেছনের দিকে পালানোর। তাই লাশগুলো সেখানেই ছিল। লাশগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে, তাদের শনাক্ত করা কঠিন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, একজন মা হিসেবে, আমি আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাতে চাই।