মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল বুধবার ২ অক্টোবর বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, যা থেমে থেমে সারারাত চলে। এতে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানিতে ডুবে গেছে রাজধানীর বেশ কয়টি এলাকা। লালবাগ, বকশীবাজার, চাংখারপুল, আজিমপুর, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, ধানমণ্ডি, কলাবাগান, কারওানবাজার, পান্থপথ, গ্রিনরোড, মালিবাগ, মগবাজার এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ রংপুর ও রাজশাহীতে কম বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি বিভাগগুলোর অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।