উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টির পানিতে শেরপুরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টিতে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একইসঙ্গে মহারশি, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর বাঁধের অন্তত সাত স্থান ভেঙে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও নালিতাবাড়ী পৌর এলাকাসহ শ্রীবরদীর শতাধিক গ্রাম ডুবে গেছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে এবং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ঢলের পানিতে ডুবে বৃদ্ধ ও নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান পেতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামে ঢলের পানিতে ডুবে থাকা সড়ক পার হওয়ার সময় পানিতে ডুবে যান ইদ্রিস মিয়া (৮০)  পরে স্থানীয়রা খোঁজাখুজির পর তার মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও বাঘবেড় গ্রামে ওমিজা খাতুন (৪৫) নামে আরেক নারী পানিতে ডুবে মারা যায়।

এদিকে, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৭ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী ও মহারসি নদীর বাঁধ ও নদীর পাড় ভেঙে দুই উপজেলার প্রায়  ১৭ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।