ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় ২১ নারীসহ ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অনেকে ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে।

গত শুক্রবার (১৮ই অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরাইলি  সেনারা। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এসব হামলায় আরও ৮৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

জাবালিয়ায় একদিনে এত নারীর মৃত্যুর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল।

গাজার উত্তরাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। কারণ জাবালিয়ার শরণার্থীশিবিরটিতে হামাসের যোদ্ধারা পুনরায় সংগঠিত হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। ওই সময় তারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে এবং ১ হাজার ২শ জনকে হত্যা করে।

হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। গত এক বছর ধরে চলা তাদের এসব নির্বিচার বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি মানুষ।