বেশ কয়েক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জাপানের নাগরিকরা।  রোববার স্থানীয় সময় সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আশা করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।

মতামত জরিপ অনুযায়ী, দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) জন্য ২০০৯ সালের পর এটাই সবচেয়ে খারাপ ফল হতে পারে।

গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ইশিবা। সাত দশক ধরে তার দল জাপানের শাসনক্ষমতায় রয়েছে। তবে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পর ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পহেলা অক্টোবর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নতুন জাপানের প্রতিশ্র“তি দিয়ে তিনি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

ইশিবার পক্ষ থেকে হতাশাগ্রস্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে কর্মঘণ্টা শিথিলের মতো নানা নীতির প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা উপাধি নেওয়ার অনুমতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তার মন্ত্রিসভায় মাত্র দুজন নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন।

দৈনিক ইয়োমমিউরি শিমবুনের করা গত শুক্রবারের জরিপে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এলডিপি ও তার জোটসঙ্গী কোমেইতো ব্যর্থ হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ২৩৩ আসন পেতে হবে এলডিপিকে। ২৩৩ আসন না পেলে সরকার গড়তে এলডিপিকে জোটসঙ্গী খুঁজতে হবে বা সংখ্যালঘু সরকার চালাতে হবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করতে পারেন ইশিবা। এতে তিনি দেশটির সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বনে যাবেন।

এলডিপিকে বিভিন্ন স্থানে টক্কর দিচ্ছে জাপানের কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি)। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডা।

গতকাল এলডিপির সমালোচনা করে নোডা বলেন, এলডিপির রাজনীতি হচ্ছে যারা তাদের প্রচুর নগদ অর্থ প্রদান করে, তাদের জন্য দ্রুত নীতি বাস্তবায়ন করা।